বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ২০১৬ সালে সাত মাস গুম থাকার পর তিনি আবার জীবিত ফিরে এসেছেন, যা তার জন্য একটি বিশেষ ঘটনা। তিনি বলেন, “অনেকেই ভেবেছিল, আমি ভালোভাবে বের হয়ে এসেছি; কিন্তু দেশের ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই। মানুষের দোয়ার কারণেই আমি বেঁচে ফিরেছি। রাঙ্গুনিয়ার মানুষ আমার বাবার জন্য লড়াই করেছেন, এবং আমি এই ঋণ শোধ করতে মাঠে নেমেছি। আমার ভোট নয়, দোয়া প্রয়োজন।”
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের এম শাহ আলম চৌধুরী স্কুল মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাদের দ্বারা সম্ভব নয়। জনগণের মতামত, পরিশ্রম, সহযোগিতা ও দোয়া ছাড়া একটি দফাও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মধ্যে বিভাজনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে রাঙ্গুনিয়ায় কোনো গ্রুপিং নেই। যারা বিএনপিকে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে, বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তারেক রহমানকে ভালোবাসে, তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মনোনয়ন ঘোষণার পর সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে।”
নিজের পারিবারিক সূত্র তুলে ধরে হুম্মাম বলেন, “আমার বাবা মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সিদ্ধান্ত ছিল রাঙ্গুনিয়াকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করা। রাঙ্গুনিয়ার মানুষ যখন বলে আমি তাদের সন্তান, তখন তাদের পিঠ দেখানোর মতো মানুষ আমি নই।”
তাকবির স্লোগান নিয়ে সমালোচনা করে হুম্মাম বলেন, “এখানে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষ আছেন। আমি তাকবির দিই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের শক্তি প্রকাশের জন্য। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে, ফজলুল কাদের চৌধুরীর নাতির ঈমান শক্ত—এটাই প্রমাণ দিতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে অনেক সড়ক মেরামত হয়নি। আমরা সেগুলোর তালিকা তৈরি করব, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে সেগুলো মেরামত করা যায়। আমি এমপি হওয়ার জন্য মাঠে নেমেছি না, জনগণের সেবা করার জন্য। এমপি হব কিনা তা রাব্বুল আলামিন ঠিক করবেন।”
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শওকত আলী নূর, এডভোকেট কামাল হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নিজামুল হক তপন, হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিকদার, হেলাল উদ্দিন শাহ, ইউসুফ চৌধুরী, ভিপি আনছুর উদ্দিন, আবদুল গফুর খান, মাকসুদুল হক, পারভেজ মোশাররফ, ফারুকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম বাবর, শওকত তালুকদার, জামশেদ মেম্বার, নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, বাবর আলম তালুকদার, আবু বক্কর, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, তাহানিয়াজ মোরশেদ তোহা, নিশাত সিকদার, খায়েজ আহমেদ বাচা, মহসিন তালুকদার প্রমুখ।