চব্বিশ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দুটি ফোনালাপ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ উপস্থাপন করা হয়েছে। ওই ফোনালাপে আন্দোলন মোকাবিলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন মো. মিজানুল ইসলাম, এবং উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য প্রসিকিউটররা।
জুলাই আন্দোলনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তিনি জানান, শেখ হাসিনার কথোপকথনের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।
ফোনালাপে শোনা যায়, হাসানুল হক ইনু এবং শেখ হাসিনা আন্দোলন মোকাবিলায় নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন, যেমন কোথায় কারফিউ প্রয়োগ করা হবে, কোন এলাকায় মিছিল পরিচালনা হচ্ছে, এবং কারা মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইনু বলেন, আন্দোলনের নেতা-নেত্রীদের শনাক্ত করে তাদের আটক করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, তারা উভয়ে সেনা ও র্যাবের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনা ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়েও আলোচনা করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে এবং নতুন তারের মাধ্যমে পুনরায় চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। হাসানুল হক ইনু সরকার ও কোটা আন্দোলনকারীদের বিরোধ না থাকার বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, যাতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে দায়ী করা যাবে।
ফোনালাপে হাসানুল হক ইনু জামায়াত ও শিবিরের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং শেখ হাসিনা সম্মতি জানান।