বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক অন্যতম সম্পাদক’ আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসন পুনর্নির্ধারণ শুনানির সময় বিএনপি ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, শুনানিতে এনসিপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা বিএনপির নির্বাচনী সহিংসতার নমুনা। তিনি বলেন, বিএনপির ভেতরে এমন অনেকেই আছেন যারা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগপন্থী, আর তাঁদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। তাঁর দাবি, আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগ করে বিএনপির ব্যানারে সন্ত্রাস ও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বিএনপিকে সুবিধা দিয়েছে এবং এনসিপিকে বাধা দিয়েছে। কমিশন নিরপেক্ষ না হলে পুনর্গঠন ছাড়া উপায় থাকবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।
শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের তিনটি ইউনিয়নকে সরাইল-আশুগঞ্জের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে রুমিন ফারহানা ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহর মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। আতাউল্লাহ দাবি করেন, রুমিনের অনুসারীরা তাঁকে মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধর করেছে। তিনি রুমিনের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে রুমিন ফারহানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রথমে তাঁকেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল, পরে তাঁর কর্মীরা এর জবাব দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিএনপির ভেতরের একটি অংশ ও এনসিপির লোকজন মিলে তাঁকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন (মাহবুব শ্যামল) অবশ্য বিষয়টিকে “অনাকাঙ্ক্ষিত তর্কবিতর্ক” বলে মন্তব্য করেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।