বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, “রুমিন ফারহানাকে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে, তার সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। রাজনৈতিক বা মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু এজন্য কোনো নারী নেত্রীর চরিত্রহনন বা অপমান মেনে নেওয়া যায় না। এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ বাড়লে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “মতপার্থক্য গণতন্ত্রের অংশ, তবে সেই পার্থক্য যেন ঐক্য নষ্ট না করে। ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে ছোটখাটো মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্য হারালে সুযোগটা আওয়ামী লীগই নেবে।”
রুমিন ফারহানার একটি পোস্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুৎসা রটানো, ভিন্নমত দমন ও ব্যক্তিগত আক্রমণ – এগুলো গণতন্ত্রের শত্রু। ৫ আগস্টের আগে আমরা যেভাবে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেটা ধরে রাখতে হবে।”
‘মায়ের ডাক’-এর আয়োজন ঘুরে দেখার পর গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত। এ সময় তিনি বলেন, “এই গুমের শিকার আমরা নিজেরাও হয়েছি। ৫ আগস্টের পর আমরা হয়তো সেই পরিস্থিতি থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গুম বিষয়ক কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেন, “যাঁরা এখনো নিখোঁজ, তাঁদের বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। আপনি একটি নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন, কিন্তু যাঁদের স্বজনেরা গুমের শিকার হয়েছেন, তারা আপনাকে এই দায় থেকে কখনো ছাড় দেবে না।”
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের সময় নয়, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। সেটা ফেব্রুয়ারিতে হোক কিংবা ডিসেম্বরে, এমনকি আগামীকাল হলেও, আগে আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে প্রস্তাবনাগুলো নিশ্চিত করতে হবে।”