বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। জামায়াতের নাম ও রূপ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং তাদের কার্যক্রমের ওপর তিনি গভীর সংশয় প্রকাশ করেন।
রোববার রাজধানী ঢাকা থেকে রমনা কালীমন্দির পরিদর্শনে গিয়ে রিজভী জামায়াতের কার্যক্রম নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জামায়াতের নেতা সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ লোক নিয়ে যুদ্ধের হুমকি দিলেও তাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই, এটি এক ধরনের প্রতারণা।
রিজভী আরো বলেন, বাংলাদেশের ঐক্যবদ্ধ সমাজের শিকড় অনেক গভীরে, যা সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না। বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করলেও দেশের জনগণ একযোগে কাজ করছে এবং তাতে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী বলেন, একটি সমাজে যখন একাধিক ধর্মের মানুষ বসবাস করে, তখন একটি ধর্মীয় উৎসব সবার উৎসবে পরিণত হয় এবং উৎসব কখনো বিভাজন সৃষ্টি করে না। এটি শুধু সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়।
রিজভী বলেন, “ধর্ম আলাদা হলেও আমাদের জাতিসত্তা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন আমাদের সবার, সেখানে ধর্মের কোনো দেয়াল নেই।” তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন, তবে দেশের জনগণের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। এই ঐক্যবদ্ধ সমাজই বাংলাদেশের সৌন্দর্য।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এখনো চলছে এবং বিশেষ করে পূজার সময়টিকে কাজে লাগিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চলছে। তবে এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় এবং এগুলোর পেছনে একাধিক পক্ষের মদদ রয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “এদেশে হিন্দু-মুসলিমে কোনো বিভেদ নেই। আমাদের খাবার, পোশাক, চিন্তা-সব এক।”
এ সময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।