আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও ডাকাতি প্রতিহত করতে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (১৬ আগস্ট) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই ভোট জালিয়াতি, সহিংসতা ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি রাষ্ট্র পরিচালনায়। বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে দেশে স্বৈরতন্ত্রের নগ্ন রূপ দৃশ্যমান হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইউনুস আহমদ আরও বলেন, জুলাইয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আইনি ও নির্বাচনী সংস্কারের প্রত্যাশা ছিল। তবে কিছু রাজনৈতিক দলের অনমনীয় অবস্থান, পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা ও সহিংস রাজনৈতিক চর্চা সেই আশায় ভাঙন ধরিয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর চুপ করে বসে থাকবে না। মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কেউ যদি জাল ভোট দিতে চায়, তা রুখে দিতে হবে। কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে, তা প্রতিহত করা হবে। এমনকি মাস্তানিও সহ্য করা হবে না।
কর্মশালায় দেশের সব জেলা ও মহানগর শাখার সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগের নেতারা অংশ নেন। এতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনার পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করতে সমস্যা, সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজের দলের শাখাগুলোতে নিয়মতান্ত্রিক কমিটি দিতে ব্যর্থ। এমন একটি বিশৃঙ্খল ও সহিংস রাজনৈতিক দলের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করেই আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এজন্য আরও সুসংগঠিত হয়ে নির্বাচনী কর্মকৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক শীর্ষ নেতা, যাঁরা সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখেন।