ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে ঘোষণার প্রায় আড়াই মাস পর পদত্যাগ করলেন ফরহাদ হোসেন খান (৪৫)। তবে তিনি দাবি করেছেন, এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন—এ তথ্য তিনি নিজেই জানতেন না।
রোববার দুপুরে ডাকযোগে দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান ফরহাদ। সেই পদত্যাগপত্রের অনুলিপি জেলা এনসিপি আহ্বায়ক, উপজেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা এবং নগরকান্দা প্রেসক্লাবেও পাঠানো হয়।
ফরহাদ তাঁর পদত্যাগপত্রে লেখেন, “৪ জুন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘোষণায় আমাকে নগরকান্দা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার আগে আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ করা হয়নি। এমনকি আমাকে জানানোও হয়নি যে আমাকে এই পদে রাখা হচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তাই আমি প্রতিবাদ হিসেবে পদত্যাগ করছি এবং দলটির সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।”
পরে ফরহাদ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। এনসিপির রাজনীতিতে যুক্ত আছি, সেটা আমি জানতামই না। আমাকে না জানিয়েই নাম দেওয়া হয়েছে।”
তবে পদত্যাগে বিলম্বের বিষয়ে তিনি জানান, ২ জুন থেকে তিনি পারিবারিক একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি ছাড়া পান। এরপর একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি এনসিপির একটি পদে রয়েছেন। খবর জানার কয়েকদিনের মধ্যেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হাসান বলেন, “ফরহাদের পদত্যাগপত্র এখনো আমরা হাতে পাইনি। তবে কেউ যদি সংগঠনে থাকতে না চান, তাকে জোর করে রাখা হবে না। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নগরকান্দা উপজেলার ১২ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে একজন প্রধান সমন্বয়কারী, চারজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও সাতজন সদস্য ছিলেন। কমিটির মেয়াদ ছিল তিন মাস বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত।