নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ঘাটে চাঁদাবাজির টাকা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বিএনপি নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে বলে একটি বিস্ফোরক অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার থেকে এটি নোয়াখালীর আলোচনায় পরিণত হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে ঘাটটির নিয়ন্ত্রণে ছিলেন চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। এই ঘাটটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইজারা নিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা শেখ বেলাল। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর ঘাটটি নিয়ন্ত্রণে নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার ও তার অনুসারীরা। এর ফলে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, খুন, দাঙ্গা ও অন্যান্য অপরাধ বেড়ে গেছে।
অডিওতে শোনা যায়, ঘাটের কেরানি সেলিম এবং ছাত্রদল নেতা ইস্কান্দার মির্জার মধ্যে কথোপকথনে জানা যায়, ঘাট থেকে প্রতিদিন ২০ শতাংশ কমিশন ঘাটের আয় মাস্টারের কাছে জমা হয় এবং এই টাকা জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতাদের, ইউএনও, ডিসি, ওসি-এসপি-সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। ছাত্রদল নেতা ইস্কান্দার মির্জা দাবি করেন, তিনি এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, তারা ঘাটের বিষয়ে কিছু জানেন না, আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানিয়েছেন যে, ঘাটটির মালিকানা নিয়ে একটি রিট মামলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর জানিয়েছেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করছে।