রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে বাস্তুতন্ত্রও বাস্তবিকভাবে নিরাপদ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’-তে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেমন গণতন্ত্রের সুরক্ষা জরুরি, তেমনি প্রাণীকুলের অধিকার রক্ষায় বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন।” তিনি বলেন, প্রতিটি প্রাণী প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাদের নিরাপত্তা মানবজাতির সুস্থ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।
প্রাণীর প্রতি ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন সুরা প্রাণীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে এবং তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হাতি, নানা প্রজাতির পাখি ও জলজ প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, ৮০’র দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০, এখন তা কমে ১০০-এর কাছাকাছি নেমে এসেছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, বন উজাড়, জলাশয় ভরাট এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে জীববৈচিত্র্য সংকটের জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বিদ্যমান আইনসমূহ সময়োপযোগী ও শক্তিশালী করা হবে।
তারেক রহমান বলেন, “একজন মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে হলে পশুত্ব বর্জন করতে হবে। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য আমাদের এই অঙ্গীকার হোক।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রাণীর অধিকার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ‘দেশ হোক সকল প্রাণের নিরাপদ আবাসস্থল’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত মেলায় প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণীর প্রদর্শনী ছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিত্রনায়ক ও আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ। উপস্থিত ছিলেন প্রাণীবিদ ও শিক্ষাবিদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।