কলকাতায় আওয়ামী লীগের ‘পার্টি অফিস’ খোলার পর, দলের কার্যক্রম কেমন চলছে?
কলকাতার উপনগরীতে, যেখানে শয়ে শয়ে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স এবং লাখো মানুষের ভিড়, সেখানে সম্প্রতি কিছু নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে। কয়েক মাস আগেও যাঁদের দেখা যেত না, তাঁরা এখন ওই বাণিজ্যিক এলাকাতে নিয়মিত আসছেন। এই নতুন ব্যক্তিরা মূলত আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যারা কিছু সময় আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে ছিলেন।
তারা যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে আসেন, সেখানে সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘পার্টি অফিস’ খুলেছে। যদিও, এই অফিসটি আগের অফিসের তুলনায় অনেক ভিন্ন; কোনো সাইনবোর্ড, বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার ছবি নেই, এবং অফিসের সাজসজ্জাও খুব সাধারণ। আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছবি বা সাইনবোর্ড রাখেননি, যাতে অফিসটির পরিচিতি প্রকাশ না পায়।
এছাড়া, এই অফিসে ৩০-৩৫ জনের বৈঠক হলেও ছোটখাটো বৈঠকগুলো এখনো নেতাদের বাসায় হয়, এবং বড় বৈঠকগুলো রেস্তোরাঁ বা ব্যাংকুয়েট হল ভাড়া করে করা হয়।
এনসিপি (National Citizen Party) নেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, যেসব নেতারা ২০২৪ সালের আগস্টের পর ভারতে চলে এসেছেন, তারা এখন কলকাতা ও তার আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে আছেন। প্রায় ২০০ নেতার একটি বড় অংশ সেখানে অবস্থান করছেন, এবং তারা প্রায়শই এই নতুন ‘পার্টি অফিস’ আসেন।
তবে দলীয় কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য, ভার্চুয়াল মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়। শীর্ষ নেতৃত্বের বেশিরভাগ কাজ ভার্চ্যুয়ালভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং দলের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
অন্যদিকে, দলের নেতাদের দেশের বাইরে অবস্থান নিয়ে কিছু সমালোচনা হলেও, তারা দাবি করছেন যে, তাদের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখা।
এছাড়া, দলের নেতারা জানান যে, তারা নিজেদের আর্থিক সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য পাচ্ছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে, এবং দিন দিন তাদের জীবনযাত্রা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে।