আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, এস আলমের টাকা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাচ্ছেন না, বরং দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা এস আলমের টাকায় ব্যবসা করে নিজেদের জীবনধারণ করছেন এবং ওই টাকায় বিদেশে তাদের সন্তানদের পড়াচ্ছেন। তিনি শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এবি পার্টির জুলাই গণসমাবেশ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।
ফুয়াদ বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের মনে রাখতে হবে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন কিভাবে স্বাধীন নবাবের পতন ঘটেছিল। আজ যারা আমাদের মধ্যে মীর জাফর, উমি চাঁদ, ঘষেটি বেগম, জগৎ শেঠের মতো ভূমিকা পালন করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।”
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা আরও বলেন, “কারা কোন দলের মাধ্যমে আগামীতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনতে চায়, এস আলমের টাকায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, এবং ১৪শ’ শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারী করতে চায়, তাদের চিনতে হবে।” তিনি যোগ করেন, “এরা বাংলাদেশের মানুষ না।”
এছাড়া, ফুয়াদ বলেন, “পতিত সরকারের ছেড়ে দেওয়া জুতা পায়ে দিয়ে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের স্বার্থে শত্রুপক্ষের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। দিল্লির আধিপত্য নিয়ে কোনো আপস হবে না, তা কংগ্রেসের নামে আসুক, বিজেপির নামে আসুক, গান্ধী পরিবারের নামে আসুক কিংবা মোদির নামে আসুক। এই বিষয়ে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”
এবি পার্টির নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিনশ’ আসনের মধ্যে দুইশ’ আসনে সরাসরি ভোট এবং বাকি একশ’ আসনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফুয়াদ বলেন, “যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হয়, তবে এবি পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।”
এবি পার্টির জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক সেলিম খান, জুলাই শহীদ আফিকুল ইসলাম সাদের বাবা সফিকুল ইসলাম, রমজান মাহমুদ, আসাদুল্লাহ প্রমুখ।