এনসিপি: নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়, তবে নির্বাচন ঠেকানোর কোনো পরিকল্পনা নেই

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বর্তমান ৭২ সালের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নতুন সংবিধান এবং সংস্কার প্রক্রিয়া পূর্ণ না হলে এনসিপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়ে গুঞ্জন চলছে।

এ বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সোমবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হলে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা না হলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে আমরা সবাই চেষ্টা করছি নির্বাচন হোক এবং আমাদের শর্তগুলো পূর্ণ করার জন্য কাজ করছি।”

এনসিপি নেতার মতে, সংবিধান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন একটি পদ্ধতির মধ্যে হতে হবে। “যদি দলগুলি ঐক্যমত না হয় এবং একসঙ্গে কাজ না করে, তবে তারা নির্বাচনকে ঠেকাতে চাচ্ছে না,”—এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেছেন, “আমরা চাই নির্বাচনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আয়োজন হোক। শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। যে দলগুলি নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা মূলত বাস্তবায়নকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”

এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি নতুন সংবিধান প্রণয়ন হয়, তবে তা জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। তবে, যদি সরকার নির্বাচনের সময়সূচি না মেনে চলে অথবা সংবিধান সংশোধন না করা হয়, তখন এনসিপি কী পদক্ষেপ নেবে—এমন প্রশ্নে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, “কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন ঠেকাতে পারে না। নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের, এবং সেদিকে নজর রাখতে হবে।”

এনসিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা নির্বাচন ঠেকানোর পক্ষে নয়, তবে সংবিধান সংশোধন এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করার জন্য তাদের দাবি জানিয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *