শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে কেন স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশও দিয়েছে দলটি। রোববার রাতে এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনার সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আপনার (মুনতাসির মাহমুদ) বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশ অনুযায়ী আপনাকে দলের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।’
মুনতাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ এনসিপির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে রোববার দুপুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। এরপর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও অব্যাহতির চিঠি পাঠায় এনসিপি।
এদিকে রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে মুনতাসির মাহমুদ লিখেছেন, ‘জুলাইয়ের গাদ্দার আমাকে বলেছে, এই চেয়ারম্যান নাকি জামায়াতের লোক। জামায়াতের হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করতেছে। সে জন্য উনি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। অথচ আজকে এই গাদ্দারের সরাসরি নির্দেশে আমাদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। এভাবেই গাদ্দারি করে সেটা জামায়াত এবং বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। আমাকে হয়তো এখন প্রমাণ নষ্ট করার জন্য গুম করা হতে পারে। আমি সময় নিয়ে সব প্রমাণ ফাঁস করব। আমি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে আছি এবং যতক্ষণ না এই ফ্যাসিস্ট চেয়ারম্যান পদত্যাগ বা অপসারণ হচ্ছে, ততক্ষণ আমি এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেব।’