বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বমঞ্চে আরও নাম লিখিয়েছে পানামা। তাদের সঙ্গে ৫২ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে হাইতি। কনকাকাফ বাছাইপর্বে মাত্র এক লাখ ৫৬ হাজার মানুষের দেশ কুরাসাও বুধবার সকালে কিংস্টোনে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে ১৯৭৪ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ খেলা হাইতি নিকারাগুয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্রের টিকিট নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া ঘরের মাঠে এলসালভাদোরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বাছাইপর্বের বাধা পার করেছে পানামা। এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে পানামার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে গুয়াতেমালার কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুরিনামকে প্লেঅফে খেলতে হচ্ছে। বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ার ম্যাচে কুরাসাওর ডাগআউটে ছিলেন না ডাচ কোচ ডিক অ্যাডভোকাট। পারিবারিক কারণে দলের ঐতিহাসিক ম্যাচটি তিনি উপভোগ করতে পারেননি।
ছয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে জ্যামাইকাকে পেছনে ফেলে গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষ দল হিসেবে ‘ব্লু ওয়েভ’রা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৪৮টি দল। যে কারণে কুরাসাওয়ের মতো দলগুলোর বিশ্বমঞ্চে খেলার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল যা তারা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। এর আগে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ২০১৮ সালে সাড়ে তিন লাখ জনগণের দেশ আইসল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।