লিওনেল মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্সে ভর করে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মায়ামি। কনফারেন্স ফাইনালে এফসি সিনসিনাতিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পা রাখল টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। সবকটি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৩৮ বছর বয়সী মেসির নাম। একটি করেছেন নিজে, বাকি তিনটিতে করেছেন সহায়তা। সেই তিন গোলের দুটি করেছেন তাদেও আলেন্দে, অন্যটি মাতেও সিলভেত্তির।
ওহাইওুর টিকিউএল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৯ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি। দুর্দান্ত এক হেডে মায়ামির গোলের খাতা খোলেন তিনি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মায়ামি।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে মেসি-শো। তবে এবার গোলদাতা নয়, ‘প্লে-মেকার’ হিসেবে মাতালেন তিনি। মাতেও সিলভেত্তি এবং তাদেও আলেন্দের (জোড়া গোল) তিনটি গোলেই প্রত্যক্ষ অ্যাসিস্ট ছিল মেসির। প্লে-অফ পর্বে এখন পর্যন্ত গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মেসির অবদান ১২টি।
ইন্টার মায়ামির জন্য এই ফাইনাল এক স্বপ্নের মতো। মেসি আসার আগের দুই মৌসুমে প্লে-অফে ওঠাই ছিল দলটির জন্য কঠিন। গত মৌসুমে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া দলটি ২০২৩ সালে প্লে-অফেও উঠতে পারেনি। অথচ সেই দলই এবার শিরোপার দ্বারপ্রান্তে।
আগামী শনিবার রাতে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনালে মায়ামির প্রতিপক্ষ নিউইয়র্ক সিটি এফসি। আরেক সেমিফাইনালে তারা ১-০ গোল জিতেছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে। নিউইয়র্ককে হারাতে পারলে এমএলএস কাপের ‘আসল’ ফাইনালে উঠবে মায়ামি। ওই ম্যাচে জিতলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা।