ভারতে ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য দেশটির মহাকাশ সংক্রান্ত সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিংক। দেশটির জাতীয় মহাকাশ সংক্রান্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস অথরাইজেশন অ্যান্ড প্রোমোশন সেন্টারের (ইন-স্পেস) ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে স্টারলিংক। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় বাজারে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করার চেষ্টা সেই ২০২২ সাল থেকে করে যাচ্ছে স্টারলিংক। সম্প্রতি “রিলায়েন্স জিয়ো” এবং “ভারতী এয়ারটেল”-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেয় মাস্কের এই সংস্থাটি।
গত ৮ জুলাই থেকে পাঁচ বছরের এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে ইন্টারনেট চালু করার জন্য সরকারি দপ্তরের ছাড়পত্র এবং অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
ভারতের সংস্থা জানিয়েছে, “স্টারলিংক জেন-১” ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে স্টারলিংক। তবে পাঁচ বছরের আগে উপগ্রহটি বন্ধ হয়ে গেলে, ছাড়পত্রও মেয়াদও তখনই শেষ যাবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “স্টারলিংক জেন-১” হলো পৃথিবীপৃষ্ঠের কাছাকাছি কক্ষপথে (লো আর্থ অরবিট) ঘুরতে থাকা অনেকগুলো কৃত্রিম উপগ্রহের সমষ্টি। এর মধ্যে ৪,৪০৮টি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। সবগুলোই পৃথিবী থেকে ৫৪০-৫৭০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। এগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রতি সেকেন্ড ৬০০ জিবি গতিতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে, “জিয়ো স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স” এবং “ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব” নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান সংস্থা কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে। এবার স্টারলিংককেও ছাড়পত্র দিল ভারতের মহাকাশ সংক্রান্ত সংস্থা।
তবে ইন্টারনেট সেবা চালুর জন্য স্পেকট্রাম পেতে অপেক্ষা করতে হবে মাস্কের সংস্থাকে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে। এসব ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ভারতে পরিষেবা চালু করতে পারবে তারা।
বিশ্বজুড়ে মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-ই স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দেয়। এই সেবায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করা হয়। স্টারলিংক কোনো ফাইবার কেবলের মাধ্যমে সেব প্রদান করে না, তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টানেট সেবা পৌঁছোতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সেবা ব্যাহত হয় না।