চায়ের টানে দার্জিলিং থেকে নেপাল–শ্রীলঙ্কায়ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী আইশা খান। তাঁর কাছে এক কাপ চা মানে ভালোবাসা। চায়ের জন্য তিনি ছুটে গেছেন দার্জিলিং থেকে নেপাল–শ্রীলঙ্কায়। বিভিন্ন দেশের মসলা চায়ের সংগ্রহ আছে তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার দিন শুরু হয় চা দিয়ে। সকালবেলা এক কাপ চা না খেলে আমার ঘুম কাটে না। আগে শীতে মা চায়ে এলাচি, লবঙ্গ ও দারুচিনি দিতেন—মসলা চা যাকে বলে। কিন্তু ২০২৩ সালে যখন দার্জিলিং গেলাম, সেখানে মসলা চায়ে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে যাই। এর পর থেকে যে দেশেই গিয়েছি, সেখানকার মসলা চা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। সবশেষ শ্রীলঙ্কার নুয়ারা এলিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় টি ফ্যাক্টরি গিয়েছিলাম, সেখান থেকে তিন ধরনের ফ্লেভারযুক্ত চা নিয়ে এসেছিলাম। মসলা টি, স্ট্রবেরি টি ও গ্রিন টি। আর কাজ করার ফলে গলায় চাপ পড়ে বলেই আমি চেষ্টা করি যেন চা স্বাস্থ্যকর হয়। দুধ–চা আমার প্রিয়, দাদুর সঙ্গে দুধ–চা ও বাকরখানি খেতাম, এই অভ্যাস আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পনির। দুধ চা অথবা মাসালা চা এর সাথে বাকরখানি আর দুই টুকরো পনির। এটা হলে আমার সারা দিন ভালো কাটে।’
বৃষ্টির দিনে চা চলে সুমনের
চিত্রনায়ক এ বি এম সুমন জানালেন, কফির সঙ্গে তাঁর প্রেম। দেশের বাইরে কোথাও গেলে কফি সংগ্রহ করেন। তবে বৃষ্টির দিনে চা খারাপ লাগে না তাঁর। সুমনের কথায়, ‘চা দিবসে সত্যিটা বলছি, চায়ের সঙ্গে আমার তেমন কোনো সখ্য নেই। তবে চা আমার অপছন্দের নয়। তবে যাঁদের চা ছাড়া চলেই না, তেমন চা–ভক্ত আমি নই। আমি কফিভক্ত। আড্ডা বা শুটিংয়ে কখনো কখনো রং–চা খাওয়া হয়, তবে দুধ–চা একদমই পছন্দ নয়। বৃষ্টির দিনে চা ভালোই লাগে। আমার হৃদয়জুড়ে থাকে ব্ল্যাক কফি।’
চা না খেলে ঘুম হয় না হিমির
অনেকেই চা খেয়ে ঘুম কাটান, কিন্তু জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির চা না খেলে ঘুমই আসে না। শুটিংয়ের বিরতিতে বা কাজ শেষে, পরিবারের সঙ্গে তাঁর সময় কাটে চায়ের আড্ডায়। হিমির কথায়, ‘চায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত গভীর না হলেও পারত! কারণ, আমি সারাক্ষণ চা খাই, বিশেষ করে দুধ–চা, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। মজার ব্যাপার হলো, সবাই চা খায় ঘুম কাটাতে, আর আমি চা না খেলে ঘুমাতেই পারি না। চিনি অর্ধেক চামচ নিলেও দুধ বেশি করে দিয়ে ঘন চা খাই, তাই ডায়েটে সমস্যা হয়ে যায়। অনেকে দেখি শুটিংয়ে চিনি ছাড়া রং–চা খান, আমার এটা প্রিয় নয়, রং–চা খেলেও ঘটা করে খাই। আর বাসায় থাকা মানেই সারা দিন চা খাওয়া।’ চা নিয়ে হিমি শোনালেন একটি মজার ঘটনা। হিমি বলেন, ‘একবার সিঙ্গাপুরে শুটিং করছিলাম, তখন দুধ–চা খাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের মতো দুধ–চা সহজে মেলে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মিল্ক টি পাউডার পাই। সেটা দেখে শুটিং ইউনিটের সবাই হেসে উঠেছিল, হিমির চা খেতেই হবে।’
চা খাওয়াতে পছন্দ করেন নাদিয়া
ছোট পর্দার অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়ারও চা খুব প্রিয়। দেশের বাইরে গেলে তিনিও চা সংগ্রহ করেন। শুধু নিজের জন্যই নয়, বাড়িতে অতিথি এলে নিজেই চা বানিয়ে খাওয়াতে ভালোবাসেন। নাদিয়া বলেন, ‘দুধ–চা অনেক পছন্দের। তবে অ্যাসিডিটির কারণে দুধ–চা কম খাই, রং–চা বেশি খাই। আর অবশ্যই গ্রিন টি, যেটা আমাকে প্রশান্তি দেয়। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে অতিথিদের চা বানিয়ে খাওয়াতে। আর দেশের বাইরে গেলে গ্রিন টি আনা হয়। ক্লান্তি, মন খারাপ বা ভালো, সব অনুভূতির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে এক কাপ চা।’