মিরপুরে যুবদল নেতা সাজ্জাদুলের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির দুই দিন পরও আটক নেই

ঢাকার মিরপুর ১ নম্বরের ঈদগাহ মাঠের কাছে গত মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই দিন দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অনুসারী জহিরের সঙ্গে মিরপুর ১ নম্বর ঈদগাহ মাঠ এলাকার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান ডুক্কু রুবেলের এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর ডুক্কু রুবেল তাঁর দলবল নিয়ে ঈদগাহ মাঠ এলাকায় থাকা যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের ওপর হামলা করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গোলাগুলি চলে।

আধঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রুবেলের সহযোগী সাজ্জাদ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর হাতে ও পেটে গুলি লাগে। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ডুক্কু রুবেল ঈদগাহ মাঠ এলাকায় একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ন্ত্রণ করেন। যুবদল নেতা সাজ্জাদুল এখন এলাকার আধিপত্য ও ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হয় শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামে সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গোলাগুলির ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জহির মামলা করতে থানায় এসেছেন। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *