ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরে গতকাল রাতে উত্তাল হয়ে উঠে চট্টগ্রাম। গতকাল রাত ১১টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের উত্তেজিত ছাত্র জনতা নগরীর ২নম্বর গেটসহ বিপ্লব উদ্যানের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শত শত ছাত্র–জনতা সড়কে অবস্থান নেন। এসময় আন্দোলনকারীদের একটি অংশ খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তারা ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখানে পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে তাদের কিছুটা সরিয়ে দেন।
আন্দোলনকারীদের একটি অংশ চশমা হিলস্থ মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নওফেলের বাসভবনে গিয়ে সেখানে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া নিউরোসার্জন আব্দুল আহাদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের হাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেইসবুক পেইজে এক বার্তায় বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।