সন্দ্বীপ মুক্ত দিবস আজ

আজ সন্দ্বীপ মুক্ত দিবস। সারাদেশ যখন মুক্তির নেশায় যুদ্ধে বিভোর তার ঢেউ আচড়ে পড়ে রণাঙ্গনের অকুতোভয় সন্দ্বীপে। সৈনিক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠিত হয় সন্দ্বীপের দামাল ছেলেরা। মুক্তিযুদ্ধ তখন চূড়ান্ত পরিণতির দ্বারপ্রান্তে। সন্দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের উপদলসমূহের গেরিলা অপারেশনের সফলতা তখন সবার মুখে মুখে। সেদিন ছিল ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাত। যুদ্ধের রণকৌশল ঠিক করে সন্দ্বীপ সদরে অবস্থান করলেন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে সন্দ্বীপ থানা অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হন সবাই।

আগের রাতেই কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও মাইটভাংগার ডা. আবদুল আজিজ সন্দ্বীপ থানা রেকি করেন। রফিকুল ইসলামের সাথে ছিলেন ডেপুটি কমান্ডার মাহবুবুল আলম বাদল, সফিকুল আলম, আলী হায়দার চৌধুরী বাবলু, ফখরুল ইসলাম রওশন, হুমায়ুন কবির, মৌ. এমলাক, মৃণাল কান্তি, নাজমুল হাসান বাবুল, মো. ইয়াছিন, একেএম শাহজাহান, বেলাল উদ্দিন প্রমুখ। রাত ১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত অভিযান শুরু হয়। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন। চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পুরো থানা কম্পাউন্ড ঘিরে ফেলে। অভিযান শেষ হতে ভোর হয়ে যায়, একে একে পাক সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করে। থানার অফিস ইনচার্জকে অপসারণ করে নাজমুল হাসান বাবুলকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘোষণা করা হয়। সকাল ৮টা নাগাদ সন্দ্বীপ থানা কম্পাউন্ডে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় সন্দ্বীপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *