আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এসব নীতিমালা এখনই চূড়ান্ত করবে না নির্বাচন কমিশন। এসব নীতিমালা নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও কিছু সুপারিশ আছে। আইন সংশোধনের বিষয়ও আছে। নীতিমালাগুলো চূড়ান্ত করতে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত ইসিকে অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
আজ দুপুরে ইসির সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা–২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫–এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় বিধিমালা ও নীতিমালা বিশদভাবে আলোচনা করে খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নসহ নানা ধরনের নতুন বিষয় প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হয়েছে।বিদ্যমান ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়েও প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা, ইসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করার কথা বলা আছে। ইসি এই কমিটির বিধান বাদ দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা কমিশনের অধীন আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে নীতিমালা থেকে।