চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার নয়াহাট গ্যাস পাম্পের সামনে ঈগল পরিবহন ও সৌদিয়া পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ঈগল বাসের চালক নিহত এবং অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের পর দুটি বাসই দুমড়ে-মুচড়ে মহাসড়কের মাঝখানে আটকে যায়, যার ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিহত ঈগল বাসের চালক মো. আরাফাত (৩২) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বানিয়ারছড়া গ্রামের নুরুল হোসেনের পুত্র। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের মধ্যে অনেককে চমেক হাসপাতালে আনা হয় এবং মো. আরাফাত ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পটিয়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাতকানিয়ার নাইম উদ্দিন (২২), লোহাগড়ার আলিফ (২২), রাঙ্গুনিয়ার সৌরভ (২৪), পটিয়ার জিরির মানিক (২৩), লোহাগাড়ার প্রফেসর আহমেদ কবির (৪৮), আসিফ (৩০), রাঙ্গুনিয়ার ইসফাকুল ইসলাম (২৪), পটিয়া ফকিরপাড়ার নাছির উদ্দিন (৪৫), বোয়ালখালীর আলী হায়দার (২৬), সাতকানিয়ার ইসমাইল (২৯), ডুলহাজারা মালুমঘাটের জালাল উদ্দীন (২৫), চকরিয়ার হারবাং এলাকার নুর বানু (১৮), পটিয়ার উত্তর দেওয়াং এলাকার মানিক (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলাম রানা জানান, দুটি বাসের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ফলে প্রায় ৪০-৪৫ জন যাত্রী আহত হন। গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং বাকি আহতরা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ দুর্ঘটনায় মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, এবং পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।