চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় হাতির আক্রমণ থেকে ধান ক্ষেত রক্ষা করতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে ১৮ বছর বয়সী যুবক জাহেদ খান নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও দুই জন— আমির খান (২০) ও মেহেরুন্নেসা বাহান্নী (৩৫)— আহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের খান বাড়ি পাহাড়ের এক্কুদ্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহেদ খান ছিলেন বৈরাগ ইউনিয়নের খান বাড়ির আব্দুল হাফেজের ছোট ছেলে, যিনি পরিবারের ক্ষেত খামার দেখভাল করতেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহেদের খালাতো ভাই শাকিল জানান, প্রতিদিনের মতো জাহেদ গরু দেখভালের জন্য বিলে গিয়েছিলেন। এসময় তিনি স্থানীয় জাফর মাস্টারের ছেলের লাগানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও দুইজন আহত হন। পরে তাকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বন বিভাগের বাঁশখালী জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই দিনে, উপজেলার বরুমচড়ায় পাকা দেওয়াল নির্মাণকালে ২০ বছর বয়সী যুবক হানিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তিনি বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। তার মামা জসিম সাওদাগর জানান, হানিফ রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্থানীয় একটি বাড়ির দেওয়াল নির্মাণকালে বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে লোহার পিঞ্জিরা লেগে তিনি আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান।
এ বিষয়ে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মুনতাছির জাহেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু ঘটে। আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বরুমচড়ার ঘটনায় তদন্ত চলছে।