চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ ২ হাজার ৬১৯ টাকা মূল্যের ৯৮ টন রাসায়নিক পণ্য মিথানল প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী বিডারদের নির্ধারিত দরমূল্যের ওপর ২০ শতাংশ পে অর্ডার জমা দিতে হবে। এছাড়া সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামের মূল্য অনুযায়ী ১০ শতাংশ আয়কর এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। জামানতের বাইরের বাকি অর্থ পরিশোধ করে দ্রুত পণ্য খালাস নেওয়ার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিলেও, চট্টগ্রাম কাস্টমসে দীর্ঘদিন সেই আদেশ বাস্তবায়নে গড়িমসি লক্ষ্য করা গেছে। এতে অনেক খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে পড়লে সরকারকে রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ধ্বংস প্রক্রিয়ায়ও ব্যয় করতে হয়েছে। তবে সম্প্রতি নিলাম কার্যক্রমে গতি আনতে উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস।
বিডারদের অভিযোগ, নিলামে অংশগ্রহণের পর পণ্যের অনুমোদনে বিলম্বের কারণে তাদের পে অর্ডার মাসের পর মাস আটকে থাকে। দ্রুত অনুমোদন পেলে কাস্টমস ও বিডার—উভয়ের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হতো।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ফেরদৌস আলম বলেন, বন্দরের কন্টেনার জট কমাতে কাস্টমস নিয়মিত নিলাম পরিচালনা করছে। ১৬ তারিখের মিথানল নিলামও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। বিশেষ করে পচনশীল ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা পণ্য দ্রুত নিলামে তোলা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, বন্দরে পণ্য ওঠানোর ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে তা খালাস করতে হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নোটিশ দেয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না হলে তা নিলামে তোলার সুযোগ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ৪৫ দিনের নীতিমালা কার্যকর না হওয়ায় বন্দরে কন্টেনার জট সৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে বন্দরও বকেয়া চার্জ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।