কাতারে ইসরাইলি হামলার পর আরব বিশ্বে নতুন মিলিটারি ফোর্স গঠনের উদ্যোগ

ইসরাইলি হামলার পর কাতারে আরব বিশ্বের নেতারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন, এবং মিসর একটি যৌথ আরব মিলিটারি ফোর্স পুনর্গঠনের জন্য চেষ্টা করছে, যা ন্যাটোর মতো দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনী হিসেবে কাজ করবে।

শনিবারের একাধিক আরবি ভাষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেরুসালেম পোস্ট এই খবরটি প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এই যৌথ বাহিনী গঠনের জন্য আরব দেশগুলোর সমর্থন পুনরায় জোরদার করতে কাজ করছেন। পরিকল্পনায় মিসর ২০,০০০ সৈন্য যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং এটি পরিচালনার জন্য একটি চার-স্টার জেনারেলকে কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সৌদি আরবও যদি পরিকল্পনাটি এগিয়ে যায়, তাহলে তারা একটি মূল অংশীদার হিসেবে থাকবে।

এছাড়া, আল-আখবার ও আল-কুদস আল-আরাবি জানিয়েছে যে, এই বাহিনীকে একটি প্রতিরক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে গঠিত করা হবে এবং এর উদ্দেশ্য ইসরাইলের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানো নয়। মরক্কো এবং আলজেরিয়া থেকেও বাহিনী অংশগ্রহণ করতে পারে। কমান্ডের দায়িত্ব ভাগ করা হবে—মিসর শীর্ষ কমান্ডে থাকবে, এবং সৌদি বা অন্য কোনো গাল্ফ রাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা এখনও আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে, তবে কাতারে ইসরাইলি হামলার পর মিসরের প্রচেষ্টা দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে আঞ্চলিক অংশীদারদের সমর্থন লাভ করা যায়।

ইসরাইলের বিরোধী নেতা ইয়ায়ার লাপিড এই প্রস্তাবকে বিদ্যমান শান্তি চুক্তির জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, “মিসরের এই যৌথ আরব ফোর্স প্রস্তাব ইসরাইলের সঙ্গে থাকা শান্তি চুক্তির ওপর মারাত্মক আঘাত।”

উল্লেখ্য, এই ধারণাটি প্রথম প্রায় এক দশক আগে উত্থাপিত হলেও তৎকালীন সময়ে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে গাজা অঞ্চলের জন্য একটি বহুজাতিক ফোর্স নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যেখানে তিনটি আরব দেশের সৈন্য এবং সম্ভাব্য মার্কিন অর্থায়নে শান্তিরক্ষা মিশন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *