উত্তরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১ অঙ্কে নামল

দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের দাপট বাড়ছে। পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে এক অঙ্কে। এতে করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র ও বৃহস্পতিবারও একই তাপমাত্রা ছিল। টানা তিন দিন ধরে এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। ভোর ও রাতে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা কম। মাঝেমধ্যে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসে দুর্ভোগ বাড়ছে। 

শীতের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন বালু শ্রমিক ও অটো-ইজিবাইক চালকেরা। পঞ্চগড় পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার অটোচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কারণে বাইরে থাকা যায় না। সকাল ৮টা পর্যন্ত কনকনে শীত থাকে। প্রতি বছর শীত এলেই আমাদের কষ্ট বাড়ে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী এক-দুই দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরের বাকি দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। এতে সড়ক, নৌ ও বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নওগাঁসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে আগামী দিনে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *