কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে অস্ত্রসহ এক তরুণ আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি বিজিবি সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
বিজিবির দাবি, আত্মসমর্পণকারী তরুণ আরাকান আর্মির সদস্য, যিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর কাছে একে-৪৭ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন এবং ৫২ রাউন্ড গুলি ছিল। ওই তরুণ নিজেকে জীবন তঞ্চঙ্গ্যা (২১) হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। বিজিবি ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, তাঁর পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ক্যাম্পের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে বাঁচতে তিনি পালিয়ে এসেছেন এবং আরও অন্তত ৩০০ আরাকান আর্মি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন।
বিজিবি জানিয়েছে, অস্ত্র ও গুলি সহ ওই তরুণকে হেফাজতে নিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১০টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সাথে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বা আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানান, শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে গোলাগুলি হলেও কোনো গুলি বাংলাদেশের ভেতরে আসেনি।