সবশেষ তথ্যমতে, স্পট মার্কেটে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪ হাজার ১৬২ দশমিক ৩১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোনার দাম হু হু করে বাড়ছে। কিছুদিন পরপর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছা যাচ্ছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। কিন্তু এক বছরের মধ্যে সোনার দাম ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
ব্যাংক অব আমেরিকা নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২৬ সালে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৫ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে, যেখানে গড় দাম দাঁড়াবে ৪ হাজার ৪০০ ডলার। রুপার দামও আউন্সপ্রতি ৬৫ ডলারে উন্নীত হতে পারে, গড় দাম হবে ৫৬ দশমিক ২৫ ডলার।
বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদণে জানানো হয়, স্বল্পমেয়াদে দামে কিছুটা ওঠানামা হতে পারে, তবে আগামী বছরে উভয় ধাতুর দাম আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের অপ্রচলিত অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো স্বর্ণবাজারের পক্ষে কাজ করছে। সরকারের রাজস্ব ঘাটতি, ঋণ বৃদ্ধি, চলতি হিসাব ও মূলধন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা এবং প্রায় ৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধরে রাখতে সুদের হার কমানোর উদ্যোগ—সব মিলিয়ে স্বর্ণের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারেও কয়েক দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে কয়েক দফায় সর্বোচ্চ দামের নতুন করের্ড সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৬ বার, আর কমেছে মাত্র ১৮ বার।