শীতে মিষ্টি আলু কেন খাবেন 

শীতের বাজারে নানা ধরনের শাকসবজির ভিড়ে পাওয়া যাচ্ছে মিষ্টি আলু। অনেকেই হয়তো জানেন না, এর উপকারিতা এতটাই বেশি যে এটাকে শীতকালীন সুপার ফুড বললেও ভুল হবে না। এই সময় মিষ্টি আলু খেলে নানা উপকারিতা মিলবে। যেমন-

হজমে সহায়ক
মিষ্টি আলুতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

ভিটামিনের পাওয়ার হাউস
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ অনেক প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি সর্দি-কাশি এবং ফ্লুর প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। মিষ্টি আলুর রঙ যত গাঢ় হবে, এতে বিটা-ক্যারোটিন তত বেশি থাকবে, যা এটিকে আরও পুষ্টিকর করে তুলবে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
মিষ্টি আলুতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। এটি নিউরোডিজেনারেটিভ যেমন-আলঝাইমার রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।

প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক
মিষ্টি আলুকে কার্বোহাইড্রেটের একটি দুর্দান্ত উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি নির্গত করে। 

হৃদরোগের জন্য উপকারী
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃদরোগের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবকে ভারসাম্যপূর্ণ করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন
ডায়াবেটিস রোগীরাও মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এর গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি, যার অর্থ হল এগুলি ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায় না। তবে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সীমিত পরিমাণে, সেদ্ধ বা ভাজা অবস্থায় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

গবেষণা কী বলে?
গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুনি মিষ্টি আলুতে পাওয়া নির্দিষ্ট জৈব সক্রিয় যৌগগুলি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এই যৌগগুলিতে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকলেও বেশি পরিমাণে খেলে চিনির মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *