অনেকেরই শাক পছন্দের খাবার। শাক শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের শাক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজমশক্তি উন্নত হয়। সেই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। কমবেশি সব শাকই উপকারী। তবে কিছু কিছু শাকে পুষ্টিগুণ একটু বেশিই থাকে। যেমন-
পালং শাক
পালং শাক বাঙালির পছন্দের শাকগুলির মধ্যে একটি। এটি আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর চমৎকার উৎস। পালং শাক রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, পালং শাক হজমশক্তি উন্নত করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
নটে শাক
এই শাক ভিটামিন সি, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। নোটশাক সাধারণত ভেজে বা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। রোজ খাদ্যতালিকায় এই শাক রাখলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
পুঁইশাক
পুঁইশাক সবার পছন্দের একটি শাক। এটি ফাইবার, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। পুঁইশাক হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে তৈরি তরকারি অনেক জনপ্রিয়। এই শাক প্রতিদিন খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মেথি শাক
কিছুটা তিতকুটে শাকের এই শাকের পুষ্টিগুণ অসাধারণ। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। এটি ভেজে বা তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বলেন, মেথি শাক গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ উপকারী।
কলমি শাক
কলমি শাক খুবই সহজলভ্য একটি শাক। এটি ভিটামিন এ, সি এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কলমি শাক হজমে সাহায্য করে। এই শাক শরীরের প্রদাহ কমায়। কলমি শাকের কোমল পাতা এবং ডাঁটা দুটোই রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এটি রক্ত পরিশোধন এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই শাকগুলি রাখলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। তবে, শাক রান্নার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের ভাষায়, শাক বেশি সিদ্ধ করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে, তাই হালকা ভাপে বা সামান্য রান্না করে খাওয়া ভালো।