মশা তাড়াতে গিয়ে যেসব বিপদ ডেকে আনবেন না

দিনে-রাতে মশা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় যে মশারি, এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। জানালা এবং বারান্দায়ও মশারোধী নেট বা জালি লাগিয়ে নেওয়া ভালো। অনেকে আবার মশা তাড়াতে স্প্রে ব্যবহার করেন, কারও আস্থা কয়েলে। আর মশা মারার ব্যাট তো এখন ঘরে ঘরে। তবে এসবেরও আছে ভীষণ স্বাস্থ্যঝুঁকি।

যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:

  • শ্বাসতন্ত্রের রোগী বাড়িতে থাকলে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার না করাই ভালো। এসবে তাঁর সমস্যা বাড়াবে।
  • স্প্রে করার সময় অবশ্যই শিশু, অন্তঃস্বত্ত্বা নারী এবং পোষা প্রাণীদের দূরে রাখুন। সে সময় নিজে মাস্ক পরে নিন। জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।
  • স্প্রে যদি করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই ঘরের কোণে এবং আসবাবের পেছনে ও নিচে করুন।
  • কয়েল ও স্প্রে শিশু এবং পোষা প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখুন।
  • মশারির কাছে কয়েল জ্বালাবেন না। কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন না।
  • কয়েল এমন স্থানে রাখুন, যার আশপাশে কাপড়, কাগজ বা সহজে দাহ্য এমন কিছু নেই।
  • স্প্রে এবং কয়েল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে। তাই একবেলা (সন্ধ্যায় শিশুদের পড়ালেখার সময়) এসবের কোনোটি ব্যবহার করে পরের বেলায়ও নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকা যাবে না। তখন মশা দূরে রাখার অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
  • মশা মারার ব্যাট সারা রাত চার্জ দেবেন না। দিনে জেগে থাকার সময় চার্জ দিন।
  • এই ব্যাট ঘুমানোর সময় বিছানায় না রাখাই ভালো। মশারি খাটালে ভেতরের মশা মেরে বাইরেই রেখে দিন।
  • মশা মারার ব্যাট বৈদ্যুতিক শক দেয়, তাই শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

পানি জমে থাকতে না দিলে মশার বিস্তার কমবে, সেটা অনেকেই জানেন। তবে অনেকে জলজ উদ্ভিদ ভালোবাসেন। বারান্দায় বা ছাদে জলজ উদ্ভিদ রাখতে পছন্দ করেন। কেউ আবার ভালোবাসেন অ্যাকুয়ারিয়াম। মশা তাড়াতে কি এসব ভালোবাসা বিসর্জন দিতে হবে? নিশ্চয়ই না। আপনার বাড়িতে এমন কোনো পানির আধার যদি থাকে, তাহলে সেখানে গাপ্পি মাছ কিংবা খলসে মাছ রাখুন। মশার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। মশা আর জন্মাতে পারবে না। কেউ কেউ জমাট পানিতে লার্ভানাশক রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করেন। তবে রাসায়নিকে যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে, সেটা ভুলে গেলেও চলবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *