ভিটামিনের ঘাটতি কমাতে শীতে কয়টি করে ডিম খাবেন

বাড়িতে মাছ-মাংস না থাকলে ডিমই একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়।

শীতকালে ডিম খাবেন কেন?
ডিমের মধ্যে ভিটামিন ডি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন বি১২, বায়োটিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সেলেনিয়াম-এর মতো পুষ্টি রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ডিম পুষ্টির ভান্ডার। শীতকালে এই খাবারটি খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। ডিমে থাকা প্রোটিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। এর জেরে একাধিক রোগ বা সংক্রমণের ঝুঁকি শীতকালে সহজেই এড়ানো যায়। অর্থাৎ, শীতকালে ডিম রোগ প্রতিরোধের কাজ করে।

শীতকালে ডিম খাওয়ার আর একটি কারণ হলো ভিটামিন ডি। শীতের দিনে রোদের তেজ কম থাকায়, শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। তাই এই মৌসুমে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ডিম খেলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। খুব কম খাবারেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, তার মধ্যে ডিম হলো অন্যতম।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডিম খেলে হার্টের রোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি সহজেই এড়ানো যায়। ডিমের কুসুমে ১৮৬-২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী ডিম। পাশাপাশি পেশি গঠনেও সাহায্য করে এই খাবার।

দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ১-২টি ডিম খেতে পারেন। শীতকালে ২টি ডিম খেতে পারেন। তবে এর সঙ্গে বাকি ডায়েটও স্বাস্থ্যকর হওয়া চাই। অর্থাৎ, সুষম আহারের সঙ্গে ২টি ডিম রাখতেই পারেন। কিন্তু হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা হাই কোলেস্টেরল থাকলে সপ্তাহে ৫-৭টা ডিম খেতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *