নাকের ফাঙ্গাল ইনফেকশন “রাইনোস্পোরিডিওসিস” কেন হয়ে থাকে এবং এর চিকিৎসা কী

নাকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যাকে রাইনোস্পোরিডিওসিস বলা হয়, দেহের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন সাধারণত গরু-ছাগল, ঘোড়ার মল, পুকুরের পানি এবং বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ফাঙ্গাল স্পোর দ্বারা ঘটে। সংক্রমিত পানি বা বাতাসের মাধ্যমে এই বীজাণু মানবদেহে প্রবেশ করে।

লক্ষণ ও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি:
নাকের ছত্রাক সংক্রমণের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক থেকে রক্ত পড়া, নাকে চুলকানি, এবং নাকে টিউমার বা পলিপের মতো লালচে দানা (স্ট্রবেরি ফলের মতো) দেখা যাওয়া উল্লেখযোগ্য। সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ১১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়, তবে যেকোনো বয়সী পুরুষ ও নারীর মধ্যে এটি হতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এই রোগের প্রবণতা বেশি।

রোগের বিস্তার:
এটি নাকের ক্ষতস্থানে ফাঙ্গাল স্পোর প্রবেশের মাধ্যমে শুরু হয়। স্পোর নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে বংশবিস্তার করে এবং পলিপ বা টিউমারের মতো গঠন তৈরি করে।

রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা:
রোগ নির্ণয়ে শরীরের টিস্যু বা কোষের নমুনা পরীক্ষা (বায়োপসি) করা হয়, যা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া টিস্যুর সূক্ষ্ম গঠন পরীক্ষা (হিস্টোপ্যাথলজি) করেও রোগের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা যায়। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে পলিপ বা টিউমারের মতো গঠন কেটে ফেলা এবং আক্রান্ত স্থান কটারাইজেশন করার মাধ্যমে রক্তপাত কমানো হয়, যা পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *