কেন মুভমেন্ট স্ন্যাকস করবেন

সুস্থ থাকার একটি উপায় হলো মুভমেন্ট স্ন্যাকস। একে বলা যায় শরীরচর্চার ক্ষুদ্রতম সংস্করণ। তবে এটি নিতান্তই সহজ কাজ। আর এতে সময়ও লাগে খুব কম। ব্যস্ত জীবনধারায়ও অনায়াসই মুভমেন্ট স্ন্যাকস করা যায়।

ধরুন, কাজের মাঝখানে মাত্র দুই মিনিটের বিরতি নিয়ে দ্রুতগতিতে হেঁটে এলেন। এটি একটি মুভমেন্ট স্ন্যাকস। এ জন্য আপনার নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার আগে বা পরে কোনো বাড়তি সময় ব্যয় না করলেও চলবে।

যেভাবে হতে পারে মুভমেন্ট স্ন্যাকস

দুই মিনিটের বিরতিতে দ্রুতগতিতে হেঁটে আসার যে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তেমনিভাবেই অনেক ধরনের শরীরচর্চা করতে পারেন। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করতে পারেন। একে বলা হয় স্পট জগিং। ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করা যায়। স্ট্রেচিং বা পেশি টান টান করার ব্যায়াম করতে পারেন। দৌড়াতে পারেন, লাফাতে পারেন, সিঁড়ি ভাঙতে পারেন। সুযোগ পেলে প্ল্যাঙ্ক, লাঞ্জ, ক্রাঞ্চ জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। ঘরে ফিরে কেবল শুয়ে–বসে না থেকে ঘরের কাজে একটু হাত লাগান। সেটিও মুভমেন্ট স্ন্যাকস। তবে মুভমেন্ট স্ন্যাকস অল্প সময়ের ব্যায়াম, তাই দ্রুতগতিতে দেহের পেশি সঞ্চালনের কোনো না কোনো ব্যায়াম এই তালিকায় রাখতে চেষ্টা করুন।

সময়ের হিসাব-নিকাশ

মুভমেন্ট স্ন্যাকস সর্বনিম্ন ৩০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের হতে পারে। দিনে ও রাতে বিভিন্ন সময়কে কাজে লাগাতে পারেন। তিনবেলা ১০ মিনিট করে সময় বের করতে পারলে তো খুবই ভালো। না পারলেও ক্ষতি নেই। পাঁচবার তিন মিনিটের বিরতি পেলে সেটিই কাজে লাগান। চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর কখনো ত্রিশ সেকেন্ড, কখনো দেড় মিনিট, কখনো পাঁচ মিনিট—যা পাবেন, তা–ই লাভ। এমনভাবে ব্যায়ামের ধরন বেছে নেওয়া ভালো, যাতে দেহের বিভিন্ন অংশের পেশির নড়াচড়া হয়।

মুভমেন্ট স্ন্যাকসের উপকার

শরীরকে যত সচল রাখবেন, ততই সুস্থ থাকবেন। স্বল্প মাত্রায় শরীরচর্চা করলেও হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমবে। পেশি, অস্থিসন্ধি ও হাড় তুলনামূলক সবল থাকবে। ভালো ঘুমও হবে। মস্তিষ্কও তুলনামূলক সতেজ থাকবে। আর এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে অন্তত দেড় শ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করে ফেলতে পারেন, তাহলে নিঃসন্দেহেই আরও বেশি করে এসব উপকার পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *