অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, কিডনির সমস্যার প্রাথমিক অবস্থায় সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষ করে পানি খাওয়ার পরিমাণ, কোমর বা তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবের সময় জ্বালা—এই লক্ষণগুলোর দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
কিডনিতে পাথর জমার ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো ভিন্ন রকমের হতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, পাথরের আকার ও অবস্থান অনুযায়ী উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। সাধারণত লক্ষ্য করা যায় এমন প্রধান উপসর্গগুলো হলো—
পিঠ বা পাঁজরের পাশে তীব্র ব্যথা: অল্প হলেও অবহেলা করা চলবে না।
তলপেটে ব্যথা: দীর্ঘ সময় ব্যথা থাকলে সাধারণ সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা রক্ত: প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা রক্ত দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শারীরিক অসুস্থতা: খেলাধুলা বা দৈনন্দিন কাজের পর বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ক্ষুধা না থাকা—কিডনিতে পাথরের সম্ভাব্য সংকেত হতে পারে।
ঘন ঘন জ্বর: শুধুমাত্র ঠাণ্ডা লাগার কারণে নয়, কিডনিতে পাথর থাকলেও জ্বর হতে পারে।
চিকিৎসকরা মনে করিয়েছেন, কিডনিতে সমস্যা সাধারণত প্রথম থেকেই বোঝা যায় না। তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।