১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফল প্রত্যাশী প্রার্থীরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করছিলেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং সনদ প্রদানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছিলেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়, শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনের মৌখিক আশ্বাসে তারা তাদের অনশন ভঙ্গ করেন। এসময় আন্দোলনের আহ্বায়ক আপেল মাহমুদ অসুস্থ অনশনকারীদের পানি খাইয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এদিন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে সচিব তাদের আশ্বাস দেন, যার ভিত্তিতে তারা অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন লিপিয়ারা খাতুন, মোরশেদা আক্তার, তাসনিম এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রার্থী মোরশেদা আক্তার বলেন, “আমরা মৌখিক পরীক্ষার বৈষম্য এবং সনদ প্রদানের বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। শিক্ষা সচিবের আশ্বাসে আমরা অনশন ভাঙলাম, তবে আমাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে, ২০ হাজার ৫৭৫ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন, যা নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। তাদের অভিযোগ, মৌখিক পরীক্ষায় বৈষম্য ঘটেছে এবং সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়নি।
ফল প্রত্যাশীদের দাবিগুলি হল:
১. মৌখিক পরীক্ষার বৈষম্য দূর করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা।
২. দ্রুত সনদ প্রদান করা।
৩. পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তিতে সকল উত্তীর্ণ প্রার্থীর আবেদনের সুযোগ নিশ্চিত করা।
তারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে না মেনে নেয়া হয়, তবে তারা আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
কর্মসূচিতে বক্তৃতা দেন, ফল প্রত্যাশী মো. সাজেদুর রহমান, শেখর চন্দ্র মণ্ডল, লিপিয়ারা খাতুন, পঙ্কজ চন্দ্র সরদার, নাজমুল ইসলাম, রুমা এবং অপূর্ব বিশ্বাস প্রমুখ।