রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষক আন্দোলনে ২০ জন আটক, থানা চত্বরে বিক্ষোভ

বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষকরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপজেলা সদরের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন এবং এনজিওর যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পুলিশের লাঠিচার্জে তিন শিক্ষক, এক নারীসহ, গুরুতর আহত হন। এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র সাইদুল ইসলাম শামীমসহ অন্তত ৭ জনকে আটক করা হয়।

এরপর আন্দোলনকারীরা আহতদের দেখতে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের ছাত্র প্রতিনিধিরা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জিনিয়া শারমিন রিয়াসসহ ১৩ জনকে আটক করে। আটককালে জিনিয়াকে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, “আমি অধিকারের জন্য কথা বলছি, আমি কি ছাত্রলীগ?”

আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন ৫ শতাধিক আন্দোলনকারী। তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানান এবং থানার ওসির পদত্যাগ দাবি করেন। থানায় প্রবেশের পথে আটকে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যান।

বিকেলে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সুজা উদ্দিন নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল থানায় ঢুকে পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের আহ্বান জানায়। তারা বলেন, “উখিয়া কোনো আলাদা দেশ নয়, আন্দোলন করাটা এখানে অস্বাভাবিক নয়।” বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও এ সময় থানায় আলোচনা করতে উপস্থিত হয়।

এ আন্দোলনের মূল কারণ হলো, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকরা গত জুলাইয়ে চাকরিচ্যুত হন, যার ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন আশ্বাস দিলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ শিক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে, যেখানে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু পড়াশোনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *