সুদানে আবাসিক এলাকা–বাজার–স্কুলে বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ১,৭০০ মানুষ

সুদানের বিমানবাহিনী আবাসিক এলাকা, বাজার, স্কুল ও আশ্রয়শিবিরে বোমাবর্ষণ করে অন্তত ১ হাজার ৭০০ মানুষকে হত্যা করেছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে একটি নতুন তদন্তে। ‘সুদান উইটনেস প্রজেক্ট’-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে পরিচালিত ৩৮৪টি বিমান হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবাহিনী জনবহুল এলাকায় আনগাইডেড বোমা বেশি ব্যবহার করেছে, যেগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া আকাশ থেকে ফেলা হয় এবং যেকোনো স্থানে পড়তে পারে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ।

এ সময় প্যারামিলিটারি বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ড্রোন দিয়ে হামলা চালালেও, ড্রোন হামলার হতাহতদের সংখ্যা এই বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ, গবেষণাটি শুধুমাত্র যুদ্ধবিমান থেকে পরিচালিত বোমা হামলার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

‘সুদান উইটনেস প্রজেক্ট’ জানায়, সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলোতে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ অত্যন্ত কঠিন। দুর্বল যোগাযোগব্যবস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের অভাবের কারণে প্রকৃত নিহত–আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিশ্লেষিত ৩৮৪ ঘটনার মধ্যে—

৩৫টি হামলা হয়েছে বাজার বা বাণিজ্যিক এলাকায়, যেখানে মানুষজনের ভিড় ছিল।

১৯টি হামলা হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সেন্টার ফর ইনফরমেশন রেজিলিয়েন্স (সিআইআর) এ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার তথ্য তুলনামূলক কম পাওয়া যায়, ফলে সেগুলোর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কঠিন হওয়ায় পুরো চিত্র এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *