সীমান্ত সংঘর্ষ : কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা থাইল্যান্ডের

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক থাই সেনা এবং চার কম্বোডীয় নাগরিক নিহত হয়েছে। নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার পর গতকাল সোমবার থাই বাহিনী কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা শুরু করার কথা জানায়। খবর বিডিনিউজের।

থাইল্যান্ড সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, সোমবার কম্বোডিয়ার হানায় এক থাই সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং আরও চারজন আহত হয়। থাইল্যান্ডের অনুপং সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছিল কম্বোডিয়া। তাতে ওই হতাহতের ঘটনার পরই কম্বোডিয়ায় সামরিক অবস্থানে পাল্টা হামলা চালায় তারা।

ওদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাই সেনাবাহিনীর গুলিতে তাদের চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। প্রেহ ভিহিয়ার ও অড্‌দার মিনচে প্রদেশে থাই বাহিনী এই গুলি চালায়। ওদিকে থাইল্যান্ডের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সিসাকেত ও উবন রাতচাথানি প্রদেশেও দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। উভয় দেশই একে অপরকে সংঘাতের জন্য দায়ী করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতির পর দুই দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতা।

থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তবে চলতি বছর সেই বিরোধ চরমে ওঠে। দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে গত জুলাইয়ে। পাঁচ দিন ধরে সংঘর্ষ চলেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন দুই দেশের মধ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। গত অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদেরকে নিয়ে শান্তিচুক্তি সই করেছিলেন তিনি। সেই চুক্তিই ভঙ্গ হওয়ার অভিযোগ তুলে দুই দেশ আবার সীমান্তে সংঘর্ষে জড়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *