বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডোরে ভারত নতুন তিনটি সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে আসামের বামুনি, বিহার বাংলা সীমান্তের কৃষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্সে এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের অটল উদ্যম ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সেনাদের সর্বোচ্চ কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকারও নির্দেশ দেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাপগুলোর নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করার জন্য এই ঘাঁটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে, যা ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।
চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি এই করিডর হারিয়ে যায়, তবে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক করিডর, যেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে খুব দ্রুত সময়ে সেনা মোতায়েন করা সম্ভব। ভারতের সেনাপ্রধানও পূর্বে একই কথা উল্লেখ করেছেন, চিকেন নেক আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সেনাকে খুব দ্রুত এখানে জড়ো করা সম্ভব।
পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত এই করিডোরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।