বাংলাদেশের বন্দর খাতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, যা বঙ্গোপসাগরে নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। “কোয়াড পোর্টস ফর ফিউচার” কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে চীনের উপস্থিতির ভারসাম্য আনার জন্য এ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দি ইকোনমিক টাইমস।
শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের বন্দর খাতে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে একটি প্রাথমিক বৈঠক করেছে। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এবং কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে। এর অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি চট্টগ্রাম এলাকার মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তবে, কোয়াড পোর্টস উদ্যোগে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশে একটি বন্দর নির্মাণের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেল নিয়ে ভাবছে, যেখানে জাপানও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে যুক্ত রয়েছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো একটি আঞ্চলিক ট্রান্সশিপমেন্ট এবং শিল্পকেন্দ্র তৈরি করা, যা বড় জাহাজগুলোকে সরাসরি ডক করতে সক্ষম করবে এবং বাণিজ্য কার্যক্রম সহজতর করবে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সরকার ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ট্রানজিট এবং পণ্য পরিবহণের জন্য পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিয়েছিল, এবং ২০২৪ সালে মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব ভারত পায়।
এভাবে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং জাপানের মধ্যে বাংলাদেশে বন্দর খাতে আগ্রহের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং নিরাপত্তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।