সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বর্তমানে সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সিনেটের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যকরী কমিটিকে এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানি পাসপোর্ট খুব অল্পের জন্যই ইউএই ও সৌদি আরবের নিষিদ্ধ তালিকায় পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব সালমান চৌধুরী ব্রিফিংয়ে বলেন, “পাসপোর্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে তা তুলে নেওয়া অনেক কঠিন হয়ে যেত। এখন ইউএই শুধুমাত্র ব্লু পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, কয়েক মাস আগে বিভিন্ন ইমিগ্রেশন লঙ্ঘন ও আইনি কারণে সৌদি আরব থেকে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক বহিষ্কার হয়েছেন। এছাড়া, আফগান নাগরিকরা কখনো কখনো পাকিস্তানি পরিচয় ব্যবহার করে বসবাস করছে এবং কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানি পাসপোর্টও সংগ্রহ করেছে। এতে পাকিস্তানের পক্ষেও দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
সালমান চৌধুরী বলেন, দেশের নাগরিকদের তথ্য ডিজিটালি সংগ্রহ করা হয়েছে, যা ১৮ থেকে ২০ কোটি নাগরিকের রেকর্ড তৈরি করেছে। এর ফলে নাগরিকদের পরিচয় যাচাই-বাছাই দ্রুত এবং সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে।
বিদেশে আটক পাকিস্তানি নাগরিকদের আইনি সহায়তার প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে, তাই প্রতিটি দেশে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ বিদেশে আটক পাকিস্তানির অপরাধ সামান্য ধরনের।
মানবপাচার রোধের উদ্যোগে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নির্দেশে তিনি বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। প্রতি বছর শত শত পাকিস্তানি যুবক অবৈধ পথে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায়, অনেকের জীবন বিপদে পড়ে। বিশেষ করে গুজরাট, ওয়াজিরাবাদ, শেখুপুরা ও লাহোর থেকে সুসংগঠিত মানবপাচার চক্র পরিচালিত হয়। এই পাচারকারীরা যুবকদের প্রতিজন থেকে ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত নেন এবং বিপজ্জনক পথে ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছে দেয়।
সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, ভিসা সীমাবদ্ধতা ও কড়াকড়ি মূলত নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবপাচারের মোকাবিলার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।