নেপালে জেন-জি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “যতদিন পর্যন্ত বিক্ষোভ বিষয়ক তদন্ত শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নেপাল ছাড়তে পারবেন না।” এছাড়া, অলির সঙ্গে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নেপালের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান হুতারাজ থাপা এবং আরও দুই জ্যেষ্ঠ আমলার ওপরও।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ, অর্থনৈতিক সংকট এবং সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও জেন-জি আন্দোলনের ডাক দিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। অল্প সময়ের মধ্যে এই আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন দমন করতে পুলিশ মোতায়েন করে, যার ফলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ২ দিনে ৭৩ জন নিহত হয়।
অলির নেতৃত্বাধীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে এবং সহিংসতা বাড়লে, ২য় দিনের শেষে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন তিনি। তার পদত্যাগের পর নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানমন্ত্রীর পদে আসেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তিনি বিক্ষোভ ও সহিংসতা তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেন।
এছাড়া, নেপাল সরকার আগামী ২০২৬ সালের মার্চে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।