মধ্যপ্রাচ্যে একত্রিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠনের জন্য ইরান নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যা আসন্ন আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। এই আহ্বান মূলত হামাস কূটনীতিকদের আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্থাপিত হয়েছে। ইরান প্রস্তাবটিকে কয়েক দশকের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সমন্বয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করছে। এর পাশাপাশি, ইসলামি দেশগুলোকে একত্রিত হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনের জন্য ইরাকও আহ্বান জানিয়েছে।
কাতারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং ২২ সদস্যবিশিষ্ট আরব লীগ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সম্মেলনটির মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ইসরাইলের চলমান হামলা এবং এর ফলে সৃষ্ট অঞ্চলীয় অস্থিতিশীলতা।
আরব ও ইরানি নেতারা সতর্ক করেছেন, যদি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আরও হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেছেন, ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি দাবি করেছেন, কাতার তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে আইনগত ব্যবস্থা নেবে, তাতে আরব বিশ্ব সমর্থন জানাবে।
আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরাইলের সমালোচনা করেছেন, এবং বলেছে যে অপরাধের মুখে নীরবতা অপরাধকে আরও উৎসাহিত করে।