ইমরান খানের অভিযোগ: সেনাপ্রধান আসিম মুনির তাকে এবং তার স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন করছেন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার অভিযোগ করেছেন, দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির তার এবং তার স্ত্রী বুশরা বীবিকে কারাগারে মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন, যাতে তারা ভেঙে পড়ে এবং তার কাছে আত্মসমর্পণ করে।

ইমরান খান, যিনি বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দী আছেন, বিভিন্ন মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। এই বছরের শুরুতে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার স্ত্রী বুশরা বীবিও তাকে জেলখানায় যোগ দিয়েছেন।

খানের অভিযোগ, তার এক্স পোস্টে তিনি বলেন, “আমার এবং বুশরা বেগমের ওপর কারাগারে যে মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তা আসিম মুনিরের নির্দেশে হচ্ছে এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আমাদের ভেঙে ফেলা এবং আত্মসমর্পণ করানো।”

তিনি আরও বলেন, “আমার আসিম মুনিরের জন্য বার্তা হলো—যতদিন আমরা জীবিত আছি, আমরা ইয়াজিদের ন্যায় অন্যায়ের সামনে বা ফেরাউনদের অত্যাচারের কাছে মাথা নত করব না।”

ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, “জেনারেল মুনির সেনাবাহিনী ব্যবহার করে দেশে আইনশৃঙ্খলাহীনতা ও ফ্যাসিবাদী পরিবেশ তৈরি করছেন। নিজের দশ বছরের অনৈতিক শাসন সম্প্রসারণের জন্য মুনির কোনো প্রচেষ্টা বাদ দেননি।”

তিনি সেনাপ্রধানের প্রতি আরও অভিযোগ করেন, “সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমেই তিনি আফগানিস্তানকে হুমকি দেন, তারপর তিন প্রজন্ম ধরে পাকিস্তানে বসবাস করা আফগান নাগরিকদের নির্বাসিত করেন, এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সৃষ্টি করতে ড্রোন হামলা চালান।”

খান বলেন, “এটি তিনি করছেন নিজেকে পশ্চিমা লবিগুলোর কাছে ‘মুজাহিদ’ হিসেবে প্রমাণ করার জন্য, যারা বর্তমান আফগান সরকারকে সমর্থন করে না।”

এছাড়া, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। “এই নিপীড়নের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতিতে বিকাশ করছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় শূন্য। দেশের ঋণ তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিটি পাকিস্তানি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে,” বলেন খান।

এদিকে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা তার দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সফল করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *