জাপানের পার্লামেন্ট মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সানায়ে তাকাইচিকে নির্বাচিত করেছে। ২০২৫ সালের ২১ অক্টোবর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এবং প্রধান বিরোধী দল জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি) যৌথভাবে জোট সরকার গঠনের পর তাকাইচি নির্বাচিত হয়েছেন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রথম দফার ভোটে তিনি ২৩৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, ফলে দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রয়োজন হয়নি।
তার ক্ষমতাসীন এলডিপি পার্টি জুলাই মাসে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তিন মাসের রাজনৈতিক শূন্যতা এবং বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে। সানায়ে তাকাইচি শিগেরু ইশিবারের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
জোট সরকার গঠনের চুক্তি স্বাক্ষরের পর তাকাইচি বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এই মুহূর্তে অপরিহার্য। স্থিতিশীলতা ছাড়া আমরা শক্তিশালী অর্থনীতি বা কূটনীতির জন্য পদক্ষেপ নিতে পারব না।”
৬৪ বছর বয়সী এই কট্টরপন্থী নেত্রীকে জাপানের ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের একজন ভক্ত।
রয়টার্স জানায়, এখন নির্বাচিত হওয়ায় তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অর্থনীতির মন্দার সঙ্গে লড়াই করা, মার্কিন-জাপানের জটিল সম্পর্ক মোকাবেলা করা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত শাসক দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।