ট্রাইব্যুনাল দাবি করেছে, বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে হাসিনা হুমকি প্রদান করেছেন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণ দিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুক্তভোগী, সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দিল্লি থেকে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এই মন্তব্যটি তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, রায়ের অনুলিপি আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখান থেকে একের পর এক অডিও বক্তব্য দেন। একটি ভাইরাল অডিওতে তাকে ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বলতে শোনা যায়। সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষায় এই অডিও শেখ হাসিনার ছিল বলে প্রমাণিত হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলা করা হয় এবং ২ জুলাই তার ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনার হুমকি ছিল সাক্ষী, ভিকটিম এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদানের জন্য, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম জানান, শেখ হাসিনার অ্যাক্টিভিস্টরা এখনও দেশে সক্রিয়, যা সাক্ষীদের ভয় দেখানোর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনাকে যদি আবারও হেইট স্পিচ দিতে দেখা যায়, তবে আদালত অবমাননার আরও মামলা করা হবে।”

২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এ রায় প্রদান করে, যেখানে শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের এবং গাইবান্ধার শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এটি বাংলাদেশের কোনও আদালত থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম সাজার রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *