চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকেলতলা এলাকায় ২০২১ সালে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মাহবুবা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। রোববার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগরের আতুরার ডিপো বেলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২৫ আগস্ট) আদালতে হাজির করে জবানবন্দি নেয়া হয়, যেখানে সে হত্যার দায় স্বীকার করে আরও তিন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছে।
পিবিআই জানায়, ২০২১ সালের ১৬ জুলাই জুমার নামাজের পর মাহবুবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের ভাই মিশকাত ইপিজেড থানায় মামলা করেন। তদন্তে উঠে আসে, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর শাশুড়ি নাজনিন বেগম দেড় লাখ টাকায় আরিফ নামে একজন ভাড়াটে খুনিকে নিয়োগ দেন, যিনি আগে থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তিনি ইপিজেড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। তার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও তিনজনকে সঙ্গে নেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের সময় স্বামী আব্দুল গোফরান ও শাশুড়ি নাজনিন বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তারা ঘটনাটিকে ডাকাতির চেষ্টায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেন। প্রথমে ইপিজেড থানা পুলিশ স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করলেও আরিফ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পলাতক আরিফসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও আদালত সেটি গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মহসীন চৌধুরী জানান, আরিফ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি আরও তিন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।