কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরীর একটি কারখানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ সায়েমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ছিলেন। ঘটনার পর আমিনুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেকে যদি অন্যায় করত, তাকে শাস্তি দিতে বলতাম। তবে তাকে খুন করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?” সায়েমের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, সায়েমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সায়েম গতকাল সন্ধ্যায় বিসিক শিল্পনগরীর একটি কারখানায় চাঁদা দাবির জন্য গিয়েছিলেন, সেখানে তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সায়েমের বাবা আমিনুলের দাবি, তার ছেলে খারাপ ছিল না, তবে এলাকায় কিছু বখাটের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করার পর তাকে খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সায়েমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা থাকলেও তার বাবা বলেন, ঘটনার সময় সে চাঁদাবাজি করতে যায়নি।
এদিকে, কারখানার মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, সায়েম দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে ঝামেলা করছিল, বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও হুমকি দিতো। সাইফুল জানান, সায়েম গত রাতে তাদের কর্মীদের মারধর করেছিল, পরদিন সকালে আবার চাঁদা চাইতে এসে কারিগরদের সঙ্গে বচসায় জড়ায়। এর পর তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।