মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক, স্টাম্পে লাথি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের এই ‘রাগী’ ভাবমূর্তিই পরিচিত। কিন্তু আটলান্টা ফায়ারের হয়ে আমেরিকার মাইনর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) খেলতে গিয়ে সতীর্থরা দেখা পেলেন ভিন্ন সাকিবের। দলের কোচ মন্টি দেশাইয়ের মতে, সাকিবের ভেতরের ‘শিশুতোষ’ রূপটি সেখানে বেরিয়ে এসেছে।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে সাকিবের সতীর্থ সাগর প্যাটেল বলেন, ‘সে (সাকিব) সবসময় হাসে! সে একটা বাচ্চার মতো। মনে হচ্ছিল সে আমাদের সঙ্গে খেলতে উপভোগ করছে। সে শুধু খেলার জন্য খেলছিল না, খেলাটাকে ভালোবেসে খেলছিল।’
তারকাখ্যাতির কোনো ছাপই ছিল না সাকিবের আচরণে। দলের বাকিদের মতোই সাধারণ এক ‘টু-স্টার’ হোটেলে থেকেছেন, মাঠে সবার সঙ্গে একই খাবার খেয়েছেন। যা দেখে অবাক হয়েছেন সতীর্থরা।
চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা (ব্লারি ভিশন) থাকার পরও ৩৭ বছর বয়সী সাকিবের পরিশ্রম মুগ্ধ করেছে সতীর্থদের। প্রতিটি ম্যাচের আগে তিনি প্রায় ৪৫ মিনিট নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। দলের কোচিং স্টাফ তাকে বৃত্তের ভেতরে ফিল্ডিং করার সুযোগ দিলেও তিনি নিজে থেকেই বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করেছেন।
সতীর্থ সানি প্যাটেল বলেন, ‘আমরা সবাই তো ওকে নিয়ে ভাইরাল রিল দেখেছি (রেগে যাওয়ার)। কিন্তু সে এখানে সম্পূর্ণ অন্যরকম একজন মানুষ। যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে পুরোপুরি আলাদা।’